আক্রমণের পসরা মেলে ধরল ব্রাজিল। প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভেঙে সুযোগও তৈরি করল অনেক। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় নষ্ট হলো সব। লুসাইল স্টেডিয়ামে শুক্রবার ‘জি’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ক্যামেরুন।
তবে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত ছিল ব্রাজিলের। হারলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। গ্রুপ সেরাও হয়েছে সেলেসাওরা। তবে আসর থেকে বিদায় নেওয়া ক্যামেরুনের বিপক্ষে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। শুরুর একাদশের নয়জনকেই বদলে ফেলেছিলেন।
আসরের তরুণ এবং সেরা প্রতিভাবান বেঞ্চ বলা হচ্ছিল অ্যান্তনি, মার্টিনেল্লিদের। কিন্তু গোল করে নামের সঙ্গে সুবিচার করতে পারেননি তারা। যদিও ৬৪ শতাংশ বল পায়ে রেখে ২০টি আক্রমণ তুলেছে ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে আসা ব্রাজিল।
মার্টিনেল্লি ভালো দুটি শট এবং একটি গোল হওয়ার মতো হেড করেছিলেন। ব্রেমেরের হেডটা গোল না যাওয়াই অবাক হওয়ার মতো। গোলে সাতটি শট নিয়ে কর্তৃত্ব করেও ব্রেক থ্রু পায়নি তিতের দল।
ক্যামেরুনও থেমে থেমে আক্রমণ করেছে। যা রক্ষণে নয়তো গোলরক্ষক এদেরসন মোরালেসে ফিরে এসেছে। কিন্তু শেষ বাঁশি থেকে চার মিনিট আগে ভিনসেন্ট আবুবাকেরের হেড দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না ব্রাজিল গোলরক্ষকের। দূর থেকে লম্বা করে বাড়ানো পাসে তিনি মাথা ছুঁয়েই উদযাপন শুরু করেন।
জার্সি খুলে উদযাপনের কারণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড লাল কার্ড পরিণত হয়। কিন্তু তাতে কোন আক্ষেপ ছিল না আবুবাকেরের। ব্রাজিলকে হারিয়ে দেশকে একটা জয় এনে দিতে পারাই যেন সব তার কাছে।
এই হারে সুইজারল্যান্ড ও ব্রাজিলের পয়েন্ট সমান হলেও দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ সেরা তিতের দল।
তারা আগামী ৫ ডিসেম্বর রাত ১টায় ’এইচ’ গ্রুপের রানার্স আপ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।